ঢাকা, শনিবার   ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ঘোষণা ট্রাম্পের 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৫, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে যুদ্ধ বিভাগ বা ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) তিনি এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্পের আদেশের পর ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে অবস্থিত মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরের সাইনবোর্ডগুলোও দ্রুত পরিবর্তন করে ফেলেছে পেন্টাগন। সেই সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের পদবিকে 'যুদ্ধমন্ত্রী' এবং তার পরের কর্মকর্তা স্টিভ ফেইনবার্গের পদবিকে 'উপ-যুদ্ধমন্ত্রী' করা হয়েছে।

ওভাল অফিসে এক অনুষ্ঠানে নির্বাহী আদেশে সই করার সময় ট্রাম্প বলেন, 'এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।'

তার মতে, নাম পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বৃহত্তর পরিবর্তনের অংশ। এটি সামরিক বিজয়ের একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন বিরল। এর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।

ট্রাম্পের 'যুদ্ধমন্ত্রী' পিট হেগসেথ এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্পের কাজকে সমর্থন করে আসছেন। হেগসেথ বলেন, 'আমরা কেবল প্রতিরক্ষা নয়, আক্রমণভাগেও যাব।'

১৯৪৯ সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে 'যুদ্ধ বিভাগ' বলা হত। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কংগ্রেস সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীকে একীভূত করে। ইতিহাসবিদরা বলছেন, পারমাণবিক যুগে যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত প্রতিরোধের দিকে মনোনিবেশ করেছিল, তাই 'প্রতিরক্ষা বিভাগ' নামটি বেছে নেওয়া হয়েছিল।

আবার নাম পরিবর্তন করা ব্যয়বহুল হবে এবং এর জন্য কেবল পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত সাইনবোর্ড ও লেটারহেডগুলোই নয় - বিশ্বজুড়ে সামরিক স্থাপনাগুলোতেও আপডেট আনতে হবে।

সমালোচকরা বলেছেন, পরিকল্পিত নাম পরিবর্তন কেবল ব্যয়বহুলই নয়, পেন্টাগনের জন্য একটি অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তিও বটে।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি